সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন জেলায় আলোচনায় উঠে এসেছে ভুয়া এনজিওর নামে কোটি টাকার প্রতারণার ঘটনা। চমকপ্রদ ওয়েবসাইট, অফিস ভাড়া, বড় বড় প্রজেক্টের ঘোষণা দিয়ে সাধারণ মানুষের বিশ্বাস আদায় করে, এই প্রতারক চক্র হাতিয়ে নিচ্ছে লাখো টাকা।
প্রতারণার পদ্ধতি কীভাবে চলছে?
✅ ভুয়া রেজিস্ট্রেশন নম্বর ও লাইসেন্স ব্যবহার করে ‘সরকার অনুমোদিত প্রকল্প’ বলে দাবি করা হচ্ছে।
✅ হতদরিদ্র, গরিব কৃষক, বেকার তরুণদের টার্গেট করে বলা হয়—মাত্র ৫০০ থেকে ৫০০০ টাকার বিনিময়ে মিলবে “সহজ লোন”, “অনুদান”, কিংবা “ট্রেনিং ও চাকরির নিশ্চয়তা”।
✅ কোনো লোন বা সুবিধা না দিয়েই বারবার ফি আদায় করে হঠাৎ করে অফিস বন্ধ করে উধাও হয়ে যায় চক্রটি।
চক্রের মূল লক্ষ্য কারা?
🔹 গ্রামের সাধারণ মানুষ
🔹 দরিদ্র পরিবার যারা সরকারি সহায়তার আশায় থাকে
🔹 শিক্ষিত বেকার তরুণ-তরুণী
🔹 ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী যারা কম সুদে লোন নিতে আগ্রহী
ধরা পড়ার পর উঠে আসা চাঞ্চল্যকর তথ্য
একাধিক ভুয়া এনজিওর বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে দেখা গেছে:
- মূল হোতারা বেশিরভাগই বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করা ব্যক্তিরা, যাদের রয়েছে আইটি ও মার্কেটিং দক্ষতা।
- তারা ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপে ভুয়া বিজ্ঞাপন ছড়িয়ে বিশাল সংখ্যক লোককে আকৃষ্ট করে।
- অনেকেই নিজেদের পরিচয় দেয় ‘প্রকল্প পরিচালক’ বা ‘সরকারি কনসালটেন্ট’ হিসেবে।
কোটি টাকার লেনদেন কীভাবে গোপন থাকে?
➡ মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস (বিকাশ, নগদ, রকেট) ব্যবহার করে হাজার হাজার লেনদেন হয়
➡ প্রতিবার টাকা পাঠানোর পর ভুয়া রসিদ বা মেসেজ পাঠানো হয়
➡ অনেকেই ভাবেন তারা সরকারি প্রকল্পে রেজিস্টার্ড হয়েছেন
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উদ্যোগ
বেশ কয়েকটি জেলা প্রশাসন ভুয়া এনজিও তালিকা প্রস্তুত করছে
পুলিশ ও র্যাব সাইবার মনিটরিং চালু করেছে, বিশেষ করে যারা অনলাইনে প্রতারণা চালায়
তবে প্রতারক চক্র বারবার নতুন নাম ও অফিস দিয়ে ফিরে আসে
সচেতন না হলে আপনি হতে পারেন পরবর্তী শিকার
🔸 কোনো এনজিওতে টাকা দেয়ার আগে যাচাই করুন তারা সমাজকল্যাণ অধিদপ্তর, এনজিও ব্যুরো অথবা জেলা প্রশাসন থেকে অনুমোদিত কি না
🔸 অনলাইন বিজ্ঞাপন দেখে নয়—প্রকৃত অফিসে গিয়ে তথ্য যাচাই করুন
🔸 প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট থানায় অভিযোগ করুন